হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় সবচেয়ে খুশি হওয়াদের দলে সৌদি আরব। সেই খুশিতেই এবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মধ্যরাতে ফোন দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে কথা বলেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় আসায় বুধবার ভোরবেলা ট্রাম্পকে ফোন দিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সালমান। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের পূর্বের মেয়াদের সুসম্পর্ক আবারও স্বাভাবিক করার জন্য আব্রাহাম চুক্তির কথা জানিয়েছেন তিনি। যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি।
এর আগে, ট্রাম্প তার আগের মেয়াদে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদার করেছিলেন। যদিও ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সৌদির। সেই সম্পর্ক এখন স্বাভাবিক হবে বলে ধারণা করছে সৌদি।
তাছাড়া সেই আভাস ট্রাম্প আগেই দিয়েছেন। গত মাসে সৌদি মালিকানাধীন আল আরাবিয়া নিউজ চ্যানেলকে ট্রাম্প জানান, তার অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি হবে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আব্রাহাম চুক্তি সম্প্রসারণ করা। যা ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যেই চুক্তির ফলে ইসরায়েল, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিল।
সেই সঙ্গে ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক বাইডেনের মতো একজন ব্যক্তির সময়ে কখনই দুর্দান্ত হতে পারে না। তবে আমার সাথে এটা দারুণ হবে এবং সৌদি আরবের প্রতি আমার অনেক সম্মান আছে।’
এদিকে সম্প্রতি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং লেবাননে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর; ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে কঠোর বার্তা দিলেও কখনওই দখলদার রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার দৃঢ়তা দেখায়নি রিয়াদ। দেশটি বলছে, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ভর করবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপর।’ এই অবস্থায় গাজা ইস্যুটি এখন কীভাবে সমাধান করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র; সেটিই এখন দেখার।